Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
বিস্তারিত

অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ

এক নজরে অশ্বদিয়া

* আয়তনঃ

 ২৩  বর্গ মাইল

* ইউনিয়নের সিমানা :

উত্তরে ১১ নেয়াজপুর ইউনিয়নও ৪ নং কাদির হানিফ,পশ্চিমে ৬ নং নোয়াখালী ইউনিয়ন ও নোয়াখালী পৌরসভা,দক্ষিনে  ও পৃবে  ২ নং সুন্দলপুর ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন।

* ইউনিয়নের জন সংখ্যা

৪৫,০০০ (জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী)

* ইউনিয়নের ঘনত্বঃ-

২৫০০ প্রায় ।

* নিবাচনী এলাকাঃ - 

২৭২- নোয়াখালী-০৫

* ইউনিয়নের খানাঃ-

৬১৫২ টি

* ফসলী জমিঃ

 ১৬৮০একর

* ১ ফসলীঃ

৮০০ একর

* ২ ফসলীঃ

৭৫০একর

১০

* ৩ ফসলীঃ

১৭৫ একর

১১

* মোট জন সংখ্যাঃ বর্তমান প্রায়

৪৫,০০০

১২

* ভোটারঃ

১৩,৪০৭৩ জন ১৩,৪৭৩ জন

১৩

* গ্রাম ও মৌজার সংখ্যাঃ

২৫ টা ও ২৩

১৪

* হাট-বাজার সংখ্যা

৫ টা

১৫

* শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

* ২ টি উচ্চ বিদ্যালয় * ২টি ন্নিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় * ৬ টি কেজি স্কুল *  ১ টি  মাদ্রাসা *  8 টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় *  ২ টি রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় *  ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ১০ টি *  সুন্নিয়া/নুরানী  মাদ্রসাঃ-৩টি  * এতিম খানা -২টি.

১৬

* মসজিদঃ

৪৫ টি

১৭

* মন্দিরঃ

২ টি

১৮

* ইউনিয়ন স্বাস্থ্য  ক্লিনিক

৪ টি

১৯

* সরকারী কমিনিটি ক্লিনিকঃ

১ টি

২০

* সরকারী অফিসঃ

১ টি ভূমি অফিস

২১

* ব্রীজ / কালভার্টঃ

৪০ টি ব্রীজ কালভার্ট

২২

* পোষ্ট অফিসঃ

৩ টি

২৩

* গ্রাম ও ওয়ার্ড সংখ্যাঃ

২৫ টি  ও   ৯টি

২৪

* বাল্বঃ

 

২৫

* পাকা রাস্তা ;-

২০ কিঃ মিঃ, ৪ কিঃ মিঃ / সি.এন.বি ৫০ কিঃ মিঃ

২৬

* খোয়াড়ের সংখ্যাঃ

২ টা

২৭

* ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র

 ১ টি

২৮

* ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন

 ১ টি

২৯

* ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন (নিচতলা)

৭ টি

৩০

* ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন( উপর তলা)

 ৪ টি

৩১

শিক্ষার হার

 ৬০.৫২%

৩২

কৃষি সম্প্রসারন সেবা কেন্দ্র

 ১ টি

৩৩

প্রাণী সম্পদ সেবা কেন্দ্র

 ১ টি

৩৪

মুরগীর খামার ও হ্যাচারী

 বড় ১ টি, ছোট ৩টি

৩৫

আশ্রয়ন কলোনী

 ১ টি

৩৬

বিসিক মিল্প নগরী

 ১ টি

৩৭

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা

 ১ টি

৩৮

 ব্রিক ফিল্ড

১ টি

 

 

 

 

 

 

ইউনিয়ন পরিষদের পটভূমি এবং ক্রমবিকাশ

 

((((   বৃটিশদের আগমনের পূর্বে তৎকালীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার পদ্ধতি কিরূপ ছিল সে সর্ম্পকে খুব একটা নির্ভরযোগ্য দলিল পাওয়া যায় না। তবে পন্ডিতগণ মনে করেন গ্রামগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। অধিকাংশ গ্রামে পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল। অধিকাংশ গ্রামে পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত ছিল। পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচজন। গ্রামের গণ্যমান্য বয়ষ্ক লোকদের নিয়ে পঞ্চায়েত গঠিত হতো। সামাজিক বিয়ষাদি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়াও এর দায়িত্ব ছিল বিচার কার্য সম্পাদন ও গ্রামের শান্তি শৃংখলা রক্ষা করা। পঞ্চায়েতগুলো দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেরাই সম্পদ আহরণ করতো। এ পঞ্চায়েত বা গ্রাম সরকারগুলো যুগ যুগ ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছে। জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে সামাজিক প্রয়োজনে স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত প্রথার উদ্ভব ঘটে। অতএব এগুলোর কোন আইনগত ভিত্তি ছিল না। বৃটিশ শাসনামলে অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে এবং পল্লী অঞ্চলে বৃটিশদের ভিত্তি আরও দৃঢ় করার জন্য লর্ড মেয়ো এর আমলে ১৮৭০ সালে গ্রাম চৌকিদারী আইন পাশ হয়। এর ফলে প্রথমবারের মত পল্লী অঞ্চলে আইনগত ভিত্তির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয় এবং পঞ্চায়েত প্রথার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এ আইনের অধীনে পল্লী অঞ্চল ইউনিয়নে বিভক্ত করা হয়। কয়েকটি গ্রামকে ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং প্রতিটি ইউনিয়নে চৌকিদারী পঞ্চায়েতের সদস্যের সংখ্যা ছিল পাঁচ জন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ করতেন। যদি কোন নিয়োগকৃত সদস্য পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাতেন তাহলে তাকে ৫০.০০ (পঞ্চাশ) টাকা জরিমানা দিতে হতো। পঞ্চায়েতের দায়িত্ব ছিল শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে চৌকিদার নিয়োগ রক্ষা করা এবং চৌকিদার কর আদায়ের মাধ্যমে চৌকিদারদের বেতনের ব্যবস্থা করা।

 

কয়েকটি গ্রাম নিয়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ থেকে ৯ জন এবং সদস্যগণ গ্রামবাসী কর্তৃক নির্বাচিত হতেন। সুনির্দিষ্ট কোন কাজ না থাকলেও কমিটি রাস্তা তৈরী, জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ সুবিধাদির তত্ত্বাবধান করতো। যদিও এ তদারকি খরচ মেটানোর জন্য গ্রামবাসীদের (যাদের বাড়ি বা সম্পত্তি ছিল) নিকট হতে তহবিল গঠন করার ক্ষমতা এর নিকট প্রদান করা ছিল। তথাপি এগুলো মূলত: জেলা বোর্ডের অনুদানের উপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে এগুলো জেলা বোর্ডের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো।

 

কর আদায়ের ক্ষমতা না থাকায় আর্থিক দুর্বলতার কারণে এগুলো কাজ করতে ব্যর্থ হয়। এছাড়া, ইউনিয়ন কমিটির পাশাপশি চৌকিদারী পঞ্চায়েত কাজ করতো । এতে পঞ্চায়েত গ্রামবাসীদের নিকট থেকে কর আদায় করতো। এর ফলে পল্লী অঞ্চলে দ্বৈতশাসনের অসুবিধাসমূহ প্রকট ভাবে দেখা দেয়। ১৯১৯ সালে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ত্বশাসন আইন এর অধীনে চৌকিদারী পঞ্চায়েত এবং ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। মোট সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ সরকারের পক্ষ হতে জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দান করতেন এবং অবশিষ্ট সদস্যগণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতেন। ইউনিয়ন বোর্ডের প্রধান কাজ ছিল নিরাপত্তা বিধান, রাস্তা ও পুল/কালর্ভাট তৈরী, স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান দাতব্য চিকিৎসালয় ও স্কুল সংরক্ষণ, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা এবং জেলা বোর্ডকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ করা। ইউনিয়ন বোর্ডকে ইউনিয়ন রেট আরোপ এবং ছোট খাট ফৌজদারী অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেয়া হয়। এর কার্যকাল প্রথমে ১৯১৯ সাল থেকে ছিল ৩ বছর ও ১৯৩৬ সাল থেকে ৪ বছর করা হয় এবং মনোনয়ন প্রথা ১৯৪৬ সালে রহিত করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সংরক্ষিত ভোটাধিকার, প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস -প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি এবং জেলা পরিষদের উপর আর্থিক নির্ভরশীলতাই ছিল প্রধান।

মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ, ১৯৫৯ এর অধীন ইউনিয়ন বোর্ডের নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল এবং এর গঠন, কার্যাবলী ও আর্থিক ব্যবস্থপনায় বেশ পরিবর্তন ঘটে। গড়ে ১০,০০০(দশ হাজার) লোকের বসবাসকারী এলাকা নিয়ে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য সমন্বয়ে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয়। মোট সদস্য সংখ্যার দু-তৃতীয়াংশ জনগণ কর্তৃক নিবাচিত হতেন এবং মহকুমা প্রশাসক সরকারের পক্ষ হতে অবশিষ্ট্র এক-তৃতীয়াংশ সদস্য মনোনয়ন দান করতেন। ১৯৬২সালে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা হয়। সদস্যগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস -চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। কিন্তু ১৯৬৩ সালে ভাইস -চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। কিন্তু ১৯৬৩ সাল ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি বিলুপ্ত করা হয়। তন্মধ্যে কৃষি উন্নয়ন, পানি সরবরাহ, শিক্ষা, যোগাযোগ, সমাজকল্যাণ প্রভৃতি কার্যাবলী উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সালিশী আদালত গঠন করার মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা দেয়া হয় এবং ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক ও বিবাহ আইনের অধীন সদস্যদেরকে বিচার করার জন্য চৌকিদারী কর ছাড়াও সম্পত্তির উপর করসহ অন্যান্য করারোপের ক্ষমতা দেয়া হয়। এছাড়া পল্লীপূর্ত কর্মসূচীর অধীন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ইউনিয়ন কাউন্সিলকে তহবিল গঠন করার দায়িত্ব দেয়া হয়। মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ ইউনিয়ন কাউন্সিলকে তহবিল গঠন করার জন্য চৌকিদারী কর ছাড়াও সম্পত্তির উপর করসহ অন্যান্য করারোপের ক্ষমতা দেয়া হয়। এছাড়া পল্লীপূর্ত কর্মসূচী অধীন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিস ভবন বা অন্যান্য কাজের জন্য সরকার হতে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলগুলো সরকারী কর্মকর্তাদের আধিপত্য, সদস্যগণ সরকারী এজেন্ট হিসেবে কাজ করায় আর্থিক দুর্বলতা ও দুর্নীতির কারণে এবং বলিষ্ঠ নেতত্বের অভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। ফলে এগুলো ঠিকমত দায়িত্ব পালনে অধিকাংশ সময় ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৭, ১৯৭২ বলে ইউনিয়ন কাউন্সিল বাতিল করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পঞ্চায়েত এবং একজন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২, ১৯৭৩ অনুযায়ী ইউনিয়ন পঞ্চায়েত এর নাম পরিবর্তন করে এর নামকরন করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৯ জন সদস্য এবং ৩জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও একজন চেয়ারম্যান ।

 

ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী : স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৩০ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী দুইভাগে বিভক্ত যথা: বাধ্যতামূলক এবং ঐচ্ছিক। তবে বাধ্যতামূলক ও ঐচ্ছিক কার্যাবলী ছাড়াও সরকার সকল বা নির্দিষ্ট কোন  ইউনিয়ন পরিষদকে পৃথক কোন দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিতে পারে। এছাড়া প্রচালিত অন্য কোন আইনের মাধ্যমে সরকার ইউনিয়ন পরিষকে দায়িত্ব দিতে পারে।  ))))))